ইজারাদার চূড়ান্ত না হওয়ায় আগে ভাগে উত্তরার দিয়াবাড়ি হাটে গরু নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন শত বেপারী। এর মাঝে দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে দিয়াবাড়ি পশুর হাটে গরু ও ছাগল নিয়ে আসা বিক্রেতারা।
আজ (বৃহস্পতিবার) সরেজমিন উত্তরার সবচেয়ে বড় উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টর দিয়াবাড়ি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বেপারীদের অভিযোগ, হাটে ইজারাদার কিংবা ব্যবস্থাপনায় কেউ না থাকায় পানি, শৌচাগার থেকে শুরু করে তাবু বা খুঁটি এসব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়নি। অথচ, একটি পক্ষ ভাল জায়গা দেয়ার নামে তাদেরকে হাটে আসতে বলেছে।
বগুড়া থেকে ১৭টি গরু নিয়ে এই হাটে আসা কামাল বেপারী উত্তরা নিউজকে বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম এখানে অন্তত পানি আর আলো থাকবে। কিন্তু এখন দেখি গরুকে খাওয়ানোর জন্য দূর থেকে পানি এনে দিতে হচ্ছে। রাতে আবার চারদিকে অন্ধকার, কোনো বাতি নেই।
ব্যাপারিদের অভিযোগ, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো—শৌচাগারের অভাব। ফলে বাধ্য হয়ে আশপাশের ঝোঁপঝাড়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে তাদেরকে।
আলম মিয়া নামের এক বেপারী জানায়, ছাউনী বা তাবু না থাকায় আমাদের গরু-ছাগল ভিজে যাচ্ছে। নিজেরা কোন রকম ত্রিপল টানিয়ে বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করেছি।
এদিকে, মাঠের এক পাশে হাটের জন্য আনা বাঁশ-খুটি পড়ে থাকতে দেখলেও হাট ঘুরে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, কাগজপত্র জটিলতার কারণে দিয়াবাড়ি হাটের ইজারাদার চূড়ান্ত ঘোষণা সম্ভব হয়নি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১০ কোটি ৮ লাখ টাকায় এস এ ব্রাদার্স দিয়াবাড়ি পশুর হাট ইজারা পাওয়ার কথা রয়েছে।