বর্ণিল সাজ আর উৎসবমুখর পরিবেশে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বৈশাখী পার্বণ ১৪৩২’।
আজ রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে বৈশাখী পার্বণ আয়োজনটি সম্পন্ন হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকমণ্ডলী।
দুপুরে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখেই তৈরি করা হয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাগরদোলা। পাশেই বসানো হয়েছে হরেক রকম স্টল। সেসব স্টলে স্টলে বিক্রি হচ্ছে গ্রাম বাংলার পান্তা-ইলিশ, পিঠা-পুলিসহ নানা রকম খাবার ও শাড়ি-চুড়িসহ হাতে তৈরি নানারকম জিনিসপত্র।
পার্বন উদযাপনে স্টল নিয়ে বসা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৬০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ইয়াছিন উত্তরা নিউজকে জানায় , নববর্ষ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা আমাদের স্টলে পান্তা-ইলিশ, ফুচকা, ঝালমুড়ি, চানাচুর এবং ফুল রেখেছি। এসব খাবার আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশ।
ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী নাবিলা জানায়, আমাদের ক্যাম্পাস আজ উৎসবে মেতে ওঠেছে। আমাদের স্টলে আমরা শাড়ি-চুড়ি এসব রেখেছি। অনেকেই কিনেছেন।
আয়োজনে নিজেদের স্টলে পান্তা-ইলিশ পরিবেশনকারী গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানায়, মাত্র ৫০ টাকায় পান্তা-ইলিশ আমরা সবার মাঝে পরিবেশন করছি। সাথে আলু ভর্তা, শুকনা মরিচ দিচ্ছি। বিক্রিটা মূল লক্ষ নয়, সব বন্ধুরা একত্রে কাজ করছি এটাই খুব ভাল লাগছে।
এর আগে দুপুর ২টায় ইউনিভার্সিটির এনেক্স ভবনের সামনে খেলার মাঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈশাখী পার্বন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী।
বক্তব্যে উপাচার্য ড. ইয়াসমীন আরা বলেন, বৈশাখের এই আয়োজন কেবল একটি অনুষ্ঠান নয় বরং এটা আমাদের শেকড়কে ছুঁয়ে দেখার মূল উপলক্ষ। যেখানে জড়িত থাকে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান, এই উৎসব ছিল শুধুমাত্র আনন্দের নয় বরং একতা, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মিলনমেলা।
নবর্বষের অনুষ্ঠানটিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বর্ণাঢ্য বৈশাখী পার্বন।