রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের স্টাফ-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক দর্জি দোকানীকেসহ ৪/৫জন কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ৯নং রোডের ২৩নং বাড়ীর নিচতলার মালিহা টেইলার্স নামের ওই দর্জি দোকানের মালিক নীরব হাসানসহ দোকানের ৪/৫জন কর্মচারীকে মারধর করে পাশের মাইলস্টোন কলেজ ভবনের স্টাফ-কর্মচারীরা। সেই সাথে বাড়ির গেট ভেঙ্গে দারোয়ান, কাজের বুয়াসহ ওই দর্জি দোকানীকে পিটিয়ে পকেট থেকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ওই স্টাফ-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মারধরের নেতৃত্ব দেয়া মাইলস্টোন কলেজের অভিযুক্ত ওই স্টাফের নাম সিদ্দিক। সে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত আছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে এসআই হান্নানের নেতৃত্বে তাৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের একটি বাহিনী।
ভুক্তভোগী দর্জি দোকানদার নীরব হাসান জানায়, দুপুরে সিদ্দিক নামের ওই ব্যক্তি এসে কর্মচারীদের অনুমতি না নিয়েই দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে একটি মেশিন চালু করে ফেলে। এতে দোকানের কর্মচারীরা তাকে মেশিন না ধরার জন্য অনুরোধ করলে কথার এক পর্যায়ে আমার কর্মচারী দিপুকে সে থাপ্পর মেরে বসে এবং বলতে থাকে মাইলস্টোন থেকে লোকজন খবর দিতেছি, এখনই তোদের দোকান এখান থেকে উঠিয়ে দিব।
ভুক্তভোগী বলেন, তাকে শান্ত করার জন্য তাকে নিয়ে আমি গ্যারেজে ফ্যানের নিচে বসাই। এ সময় সে ফোন দিয়ে পাশের মাইলস্টোন কলেজ ভবনের ২০/২৫জন স্টাফকে ডেকে নিয়ে এসে আমাকে এবং আমার দোকানের কর্মচারী আব্দুল্লাহ, জাহিদ, খোকন, দিপু, শাহিনকে এলোপাতারি কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে সবাইকে জখম করে।
বাড়ির মালিক নাসরিন বেগম জানায়, হট্টগোলের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি গেটের বাইরে ২০/২৫ মিলে হাতুরি দিয়ে গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা হাতুরি দিয়ে তালা ভেঙ্গে গ্যারেজে ঢুকে বাড়ির দারোয়ান, কাজের বুয়া এবং ওই দোকানের স্টাফদের মারধর শুরু করে। আমি থামাতে গেলে তারা আমাকেও ধাক্কা দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তখন আমি ৯৯৯ এ কল করি।
মারধরের শিকার ওই বাড়ির দারোয়ান হাকিম মিয়া জানায়, হ্যারা বিশ-পঁচিশজন গেইট ভাইঙ্গা ঢুকছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমারেও মারছে। সবুজ শার্ট পরা একটা লোক আছিল হ্যায় বেশি মারছে।
৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা পুলিশের এসআই হান্নান যুগান্তরকে জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ভুক্তভোগীরা যদি মামলা করতে চায় তাহলে থানায় যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইলস্টোন কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম বলেন, কোন ব্যক্তির দায় মাইলস্টোন বহন করবে না। কেউ যদি মাইলস্টোনের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে মারামারি ঘটিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব। অভিযুক্ত সিদ্দিক প্রতিষ্ঠানটির হিসাবরক্ষণ বিভাগের ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।