শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

ভয়াবহ নির্যাতনের কথা জানালেন লিবিয়াফেরত বাংলাদেশিরা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত
অবৈধভাবে লিবিয়ায় গিয়ে ডিটেনশন সেন্টারে আটক বিপদগ্রস্ত ও পাচারের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তারা জানিয়েছেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন সহ্য করে সাক্ষাৎ মৃত্যু থেকে বেঁচে ফিরেছেন তারা। পাশাপাশি লিবিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা বাকি বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা ও দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগীদের।কেউ বছর, কেউ আবার মাসের পর মাস অপেক্ষা শেষে প্রিয়জনকে ফিরে পেয়ে ভেঙে পড়েন কান্নায়।এ কান্না যেন তাদের আনন্দের। এর মধ্যে ১০৬ জন ছিলেন ত্রিপলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে। তারা তুলে ধরেছেন সেখানে হওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের কথা। লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরো ১৭৬ বাংলাদেশিএক ভুক্তভোগী প্রবাসী বলেন, গত চার মাসের মধ্যে দুই বেলা ভাত খেতে পাইনি।ভাত দিইনি। শুধু মেরেছে। আরেকজন জানান, লিবিয়ায় যেন কেউ না যায়। সেখানে আমাকে মাফিয়া ধরেছিল, মোট ২৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে আমার।পাঁচ মাস ৯ দিন জেল খেটেছি। কথা বলতে কষ্ট হয় আমার।ভুক্তভোগী আরেকজন জানান, পাঁচ মাস কাজ করেছি, কিন্তু এক মাসের বেতন দিয়েছে। তা-ও আবার বাংলাদেশি টাকা ৩০ হাজার আর দেয়নি। খাওয়াদাওয়ার খুবই কষ্ট, বাইরে বের হলে আবার মাফিয়া ধরে।সব দিক থেকেই সমস্যা।বাকি ৭০ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে শারীরিকভাবে অসুস্থ দেখা গেছে।ইন্ডাস্ট্রির দুরবস্থা গ্রাস করেছে তাঁদেরওডিটেনশন সেন্টারে থাকা বেশির ভাগই দালালের মাধ্যমে ইতালি পাড়ি জমানোর জন্য দেশ ছেড়েছিলেন। দালালদের এ সিন্ডিকেটের বিচার চান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।আইওএমের সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভোর সোয়া ৪টায় দেশে ফেরেন ১৭৬ বাংলাদেশি। ঢাকা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও তদন্ত শেষে সকাল ৮টায় বের হন সবাই।আগামী ১৯ ও ২৬ মার্চ আরো তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩
themesba-lates1749691102