বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন

ক্রিকেট-ফুটবলের বাইরে ইমরানের ঝলক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৫২ বার পঠিত
ইমরানুর রহমান বাংলাদেশের হয়ে খেলার শুরুর সময়ই বলেছিলেন, ১০০ মিটারের চেয়ে ৬০ মিটার স্প্রিন্টেই তিনি স্বচ্ছন্দ। ৬০ মিটারে আসলেই তিনি কতটা ভালো, সেটিই দেখিয়েছেন এ বছরের গোড়ায় কাজাখস্তানে, এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে। ৬.৫৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে জিতেছেন সোনা। বছর শেষে ক্রীড়াঙ্গনের প্রাপ্তির খাতায় সেটিই বড় হয়ে উঠছে।

ক্রিকেট, ফুটবলের বাইরে অন্য খেলাগুলোতে এ ছাড়া যে বড় সাফল্য নেই তেমন। আর্চারিতে বছরের একমাত্র আন্তর্জাতিক সোনা মার্চে তাইওয়ানে এশিয়া কাপে। একই মানের আসরে আগেও একাধিক সোনা জিতেছে বাংলাদেশ, আর্চারদের নিয়ে প্রত্যাশা তাই বেশি। সেই প্রত্যাশা এবার মেটেনি।

এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে ছিলেন রোমান সানা, হাকিম আহমেদরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার কাছে হেরে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। জিতলে অলিম্পিক কোটাও পেতেন ছেলেরা। সেটি হয়নি।

পরে ব্যাঙ্ককে কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টেও মেলেনি সেই টিকিট। এ বছর কোনো বিশ্বকাপ বা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই আর্চারদের। অবশ্য আর্চার বড় তারকা রোমান নিষিদ্ধই ছিলেন এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্তপুরো বছর হিসেবে ইমরানকে নিয়েও আশাভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। ১০০ মিটারে এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে ১০.২৫ টাইমিং করে আশা দেখিয়েছিলেন, কিন্তু সেমিফাইনালে সেই টাইমিং আর করতে পারেননি তিনি।

উঠতে পারেননি ফাইনালে। প্রত্যাশা মেটেনি এশিয়ান গেমসেও। হিটে ১০.৪৪ এবং সেমিতে ১০.৪২ দৌড়ে সম্ভব হয়নি ইমরানের ফাইনাল খেলা।এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের দুটি ব্রোঞ্জ; দুটিই ক্রিকেটে। আর শুধু আর্চারি ও বক্সিংয়ে ছিল পদকের সুযোগ। শ্রীলঙ্কা ও তাজিকিস্তানের দুই বক্সারকে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর প্রথম এশিয়াড বক্সিংয়ে পদকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সেলিম হোসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেছেন তিনি।

বক্সিংয়ে ঘরোয়া খেলাধুলায় অবশ্য কোনো উন্নতি চোখে পড়েনি। এ বছরও হয়নি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। একই অবস্থা হকিতে। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ায়নি। এশিয়ান গেমসেও পিছিয়েছে জাতীয় দল। ষষ্ঠ থেকে হয়েছে অষ্টম।

এশিয়াডে হতাশ করেছে কাবাডি। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডিতে চায়নিজ তাইপেকে হারিয়ে সোনা জিতলেও এশিয়াডে সেই তাইপের কাছে হেরেই সেমির দেখা পাননি ছেলেরা। মেয়েরাও ফিরেছেন শূন্য হাতে।

শ্যুটিংয়ে বছরের শুরুতে জাকার্তা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে চমক দেখিয়েছিলেন কামরুন নাহার। কিন্তু বছরজুড়ে সেই ফরম ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বলার মতো কিছু করতে পারেননি এশিয়ান গেমসেও।

গলফে পেশাদার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক বছর কাটিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। এশিয়ান ট্যুর র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ৬০-এর বাইরে ছিটকে গিয়ে আগামী মৌসুমের এশিয়ান ট্যুর কার্ড হারিয়েছেন তিনি। জামাল হোসেন অবশ্য এ বছর ভারতীয় ট্যুরে তাঁর দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছেন। বেশির ভাগ সময় ছিলেন র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচে।

দাবায় ফাহাদ রহমানের গ্র্যান্ডমাস্টার নর্মের অপেক্ষা ফুরায়নি এ বছরও। এ বছরই প্রথম ইউরোপে দুটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন তিনি। সেখানে এবং পরে ভিয়েতনামে নর্মের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি।

এ বছর যুব গেমস হয়েছে। তবে আলোচিত নতুন মুখের দেখা মেলেনি। বিভিন্ন খেলার জুনিয়র পর্যায়ে সফল হওয়া তরুণরাই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। তবে বয়স ইস্যুতে বিতর্কিত হয়েছে এই গেমস। প্রশ্ন ছিল দ্রুততম মানব-মানবী নিয়েই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩
themesba-lates1749691102