পরে চলতি মাসে প্রকাশিত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক তদন্তে বলা হয়, তাদের সেনারা ‘নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে’ বা ‘শাস্তিমূলক হত্যা চালিয়েছে’—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তবে তারা স্বীকার করে, সেখানে ‘অপারেশনাল ব্যর্থতা’ হয়েছিল এবং তারা একজন ফিল্ড কমান্ডারকে বরখাস্ত করেছে। তদন্তে আরো বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ছয়জন যোদ্ধা ছিলেন, যদিও এর আগে তারা বলেছিল ৯ জনই যোদ্ধা।অন্যদিকে এই তদন্তের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে পিআরসিএস ও গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি। পিআরসিএস ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যায় ভরা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।হতাহত চিকিৎসাকর্মীরা ২৩ মার্চ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার কাছে বিপদে পড়া মানুষের ফোনকলের জবাব দিতে গিয়ে নিহত হন। ওই সময় হামাসশাসিত অঞ্চলে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করেছিল। প্রায় এক সপ্তাহ পর তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার হয়, গুলি চালানোর স্থানের কাছে বালুর নিচে চাপা পড়ে থাকা গাড়িগুলোর পাশে। ওসিএইচএ এটিকে ‘গণকবর’ হিসেবে বর্ণনা করে।এর কয়েক দিন পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের সেনারা ‘সন্দেহজনক যানবাহনে’ থাকা ‘সন্ত্রাসীদের’ দিকে গুলি ছুড়েছিল।পরে এক মুখপাত্র বলেন, ওই সব গাড়ির আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে নিহত এক কর্মীর মোবাইল থেকে উদ্ধার করা একটি ভিডিও রেড ক্রিসেন্ট প্রকাশ করে, যেটি ইসরায়েলি সামরিক বিবৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাম্বুল্যান্সগুলো সামনের আলো ও জরুরি বাতি চালিয়ে এগোচ্ছিল।তদন্ত প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করে, তাদের সেনারা পুরো ঘটনার প্রতিবেদন যথাযথভাবে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা আবারও দাবি করে, ইসরায়েলি সেনারা ‘আরো ক্ষতি ঠেকাতে’ মরদেহ ও যানবাহন মাটিচাপা দিয়েছিল।