রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য নতুন শর্ত ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল তখনই রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যদি সমস্ত ন্যাটো সদস্য দেশ একই পদক্ষেপ নেয় এবং রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে পশ্চিমা মিত্রদের জন্য এক ধরনের উন্মুক্ত আলটিমেটাম হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ন্যাটোর প্রতিশ্রুতিকে “১০০ শতাংশের কম” বলে উল্লেখ করে তুরস্ক, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশের রাশিয়া নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া তিনি প্রস্তাব করেছেন—চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে ইউক্রেনে শান্তির পথ তৈরি হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি নির্ভরতা এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে ট্রাম্পের শর্ত সহজে মেনে নিতে পারবে না।
২০২২ সাল থেকে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া এখনও তৃতীয় দেশগুলোতে তেল বিক্রি করে বিপুল রাজস্ব আয় করছে। ইউরোপের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় থাকায় হঠাৎ করে এই সম্পর্ক ছিন্ন করা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই নীতি ইউরোপে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। একদিকে তারা রাশিয়ার হুমকির মুখে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদী সমর্থনে অনাগ্রহী। ফলে মিত্ররা কঠিন দ্বিধায় পড়েছে—রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, নাকি নিজেদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা অক্ষুণ্ণ রাখবে।