শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
জোর করে কিছু রাজনৈতিক দল দাবি আদায় করতে চায় : আমীর খসরু তারেক রহমান ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন : ফজলে এলাহী রাজধানীতে শৌখিন মুদ্রা সংগ্রাহকদের কর্মশালা মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, যেমন থাকবে তাপমাত্রা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের, আরো ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপের হুমকি উ. কোরিয়ার ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হৃদরোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন রাতে ডিউটি শেষে সকালে স্ট্রোক করে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু গাজীপুরে তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ড, দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত বই বিক্রি করেছে বাংলা একাডেমি, কেজি দরে কেনা বইয়ের দাম লাখ টাকা চাকরিজীবীদের জন্য আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি

চিকিৎসকসহ জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে  চিকিৎসকসহ জনবল সংকট চলছে। এতে উপজেলার পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সহস্রাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। শয্যা সংখ্যা ৫০ হলেও অনেক সময় ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যায়।তাদের হাসপাতালের মেঝেতে, দরজার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে দেখা যায়। সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট ২২ চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৯৫ জনসহ মোট ২১৭ পদের জনবলের  অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসক এবং ৫৩ জন অন্যান্য কর্মচারীর পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে, অর্থাৎ হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৬৬টি পদ খালি।এদিকে, চিকিৎসকদের ছয়টি পদ শূন্য এবং সাতজন প্রেষণে থাকায় ১৩ জন চিকিৎসকই কার্যত অনুপস্থিত।বাকি ৮-৯ জন চিকিৎসকের মধ্যেও জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত রাত্রিকালীন সেবাদানের পরদিন ওই চিকিৎসক ছুটিতে থাকেন। প্রশিক্ষণ, অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে আরো তিন-চারজন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকেন। ফলে বাকি চার-পাঁচজন চিকিৎসককেই জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোরের শত শত রোগীর চিকিৎসা সামলাতে হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা।অপরদিকে, জুনিয়র কনসালটেন্টের ১০ পদের মধ্যে সাতটি শূন্য। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, চর্ম ও যৌনরোগ, অর্থোপেডিকস, ইএনটি, চক্ষু বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে চিকিৎসক না থাকায় বিশেষায়িত সেবা প্রায় বন্ধ। এছাড়া অ্যানেসথেসিয়ার জন্য চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটারের কাজ প্রায় অচল। জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তদবির করে প্রেষণে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চলে গেলেও ওই পদ খালি দেখানো হয় না বা বিপরীতে আর কোনো চিকিৎসক আসারও সুযোগ থাকে না জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও ব্যাপক সংকট বিরাজ করছে।মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদেও রয়েছে শূন্যতা। ফলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, সরকারি হাসপাতালের দূরবস্থার পেছনে আরেকটি বড় সমস্যা হলো দালালচক্র ও ওষুধ কম্পানির প্রভাব। উপজেলা সদরজুড়ে থাকা ৩৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দালালরা দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফুঁসলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। সেখানে অখ্যাত কম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করে মুনাফা হাসিল করা হয়।এছাড়া হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবহার স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালকদের চাপে কার্যত বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে স্বল্প আয়ের, দরিদ্র ও মুমূর্ষু রোগীরা সময়মতো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে না পারায় বিপাকে পড়ছেন। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি ওষুধ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবেও স্বাস্থ্যসেবার মান দিন দিন নিচে নামছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জনবল পূরণ হলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। তবে প্রেষণে যাওয়া আট চিকিৎসকের বিপরীতে চিকিৎসক না পাওয়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102