বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে, এটা কোনো নির্বাচনই ছিল না। তাছাড়া ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকেও ৩৪ জন ই-ভোট দিয়েছেন।
সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, “আমার বক্তব্য পরিস্কার। আমি মনে করি না যে এটা কোনো ইলেকশন ছিল। যেভাবে জিনিসগুলো ঘটেছেৃ আমি ছোট্ট একটা পয়েন্ট ধরিয়ে দিতে চাই। আমি যেহেতু দেশের বাইরে গিয়েছিলাম, তাই ই-ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “মিডিয়ায় দেখতে পাই, আমার ভোট নাকি কাস্ট হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এরপর ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেই এবং নির্বাচন কমিশনকে একটা ই-মেইল দেই। সেখান থেকে গতকাল আমাকে জানানো হয়, আমার ভোট কাস্ট হয়নি।”
দেশ সেরা সাবেক এ অপেনার বলেন, “দ্বিতীয়ত, আমি যদি ভুল না করি তাহলে নির্বাচনে ৪২ বা ৪৩টা ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি ভোটই ছিল ই-ভোট। আপনি সেন্টারে যেতে না পারলে ই-ভোটিংয়ের সুবিধা নিতে পারেন। কিন্তু ৩৪টি ই-ভোট দেওয় প্রত্যেকেই সেদিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল! ১২ জন যারা ডিরেক্টর হয়েছেন, তারা প্রত্যেকে ই-ভোট কাস্ট করেছে। এটার মোটিভ কী? উনাদের কাজকর্মেই কিন্তু এসব প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।”
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রেই আছেন, তাহলে ই-ভোটিংয়ের প্রয়োজনটা কী?-প্রশ্ন তোলেন তামিম ইকবাল।
উল্লেখ্য, বিসিবি নির্বাচনের মাধ্যেম পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও সহ-সভাপতি হয়েছেন।