গত এক বছরে দেশের পাট ও বস্ত্রখাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য সম্প্রসারণ ও রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো পুনরুজ্জীবিত করাই এর মূল লক্ষ্য।
মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন সুপারমার্কেটে বিনামূল্যে পাটের ব্যাগ বিতরণ এবং গ্রাহকদের উৎসাহিত করার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কার্যকর করে প্লাস্টিক ব্যবহার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি বন্ধ পাটকল শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা এবং পাট পণ্য প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। দেশীয় পাটজাত পণ্যের বিশ্ববাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্যের প্রচার ও প্রশিক্ষণে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া, পাটের আঁশ থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ তৈরির প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বস্ত্রখাতে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চালু রয়েছে।
গত এক বছরে পাটজাত মোড়ক ব্যবহারে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে প্রায় ১০ লাখ টাকার জরিমানা আদায় এবং ১০ হাজারের বেশি লাইসেন্স ইস্যুর মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পাট ও পাট বীজ উৎপাদন ও সম্প্রসারণে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে, যা দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।