মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
২০২৪ সালের ১ আগস্ট, আন্দোলনকারীদের ভাষায় ৩২ জুলাই, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের স্মরণে পালিত ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাধা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং বেশকিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্মৃতিচারণ, দেয়াল লিখন, চিত্রাঙ্কন ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এরই মধ্যে ডিবির হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে দুপুরে মুক্তি দেওয়া হয়। আন্দোলনের এক সমন্বয়কের পরিবারের দাবি, তারা ডিবি কার্যালয়ে অনশন করায় শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
এর আগে ১৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সরকারবিরোধী উত্তাপে রূপ নেয়। জুলাই মাসকে দীর্ঘায়িত করে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ‘জুলাই’ চলতেই থাকবে।
পাশাপাশি ৩৩ জুলাই (২ আগস্ট) শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্র সংগঠন। শহীদদের কবর জিয়ারত, বিভিন্ন উপাসনালয়ে প্রার্থনা ও গণমিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
এইদিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
দেশজুড়ে কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, শেকৃবি, সাস্ট, ইবি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অন্যদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাত্র হত্যার বিচার ও রেমিট্যান্স বন্ধের ডাক দেন।
সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও জাতিসংঘ থেকে সরকারকে তদন্ত সহায়তার প্রস্তাব আরও এক উত্তাপ ছড়ায়।
এদিকে চলমান সহিংসতা তদন্তে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা ইতোমধ্যেই প্রজ্ঞাপিত হয়েছে।
