বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

‘আয়রন ডোম’ ভেদে সক্ষম ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
সংগৃহীত ছবি | উত্তরা নিউজ

 “ট্রু প্রমিজ-৩” অভিযানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ ও বিমান শাখা ব্যাপক ও সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইসরাইলের দখলকৃত ভূমির গভীরে আঘাত হানছে, যা ইসরাইলের নিরাপত্তা কৌশলকে সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত করেছে এবং তেল আবিবকে হতবাক ও আতঙ্কিত করে তুলেছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ ও বিমান শাখা শনিবার রাতে “সত্য প্রতিশ্রুতি-৩” অভিযানের নতুন পর্যায় শুরু করেছে, যার কোডনাম ছিল “ইয়া আলী ইবনে আবি তালিব”। এই অভিযানে ব্যাপক ও সমন্বিতভাবে ইসরাইলের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। এই অভিযানটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং আত্মঘাতী ড্রোনের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সরাসরি জবাব।

ফার্স নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী-এই অভিযানে “ইমাদ”, “গাদর” ও “খায়বার শেকান” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়—যার লক্ষ্য ছিল হাইফা, তেল আবিব ও ইসরাইলের উত্তরাঞ্চল।

ইসরাইলের শোধনাগার, বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র এবং বিমান বাহিনীর জ্বালানি সরবরাহ স্থাপনাগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করাই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নির্ভুলতা এবং শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতাকে প্রমাণ করে।

ট্রু প্রমিজ-৩” অভিযান ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরোধ কৌশলের একটি মাইলফলক। সঠিক ও বৈচিত্র্যময় ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি আত্মঘাতী ড্রোন এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কৌশলের সমন্বিত ব্যবহার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর পরিপক্কতা এবং আঞ্চলিক হুমকির মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুতিকে নির্দেশ করে।

এই অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যবস্থাগুলো কেবল প্রযুক্তিগতভাবে উন্নতই নয়, কৌশলগত স্তরেও একটি বার্তা বহন করে যে ইরান যে কোনো আক্রমণকারী শত্রুর উপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চাপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102