শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া: সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে বক্তারা

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ রোগ প্রতিরোধে সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।বর্ণাঢ্য আয়োজনে শনিবার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব প্রি-এক্লাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার, সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: “প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, জানুন।”

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারজানা সোহাইলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম। এ সময় তিনি বলেন, সঠিক গর্ভপূর্ব ও গর্ভকালীন চেকআপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মাকে চিহ্নিত করে এক্লাম্পসিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।

অবস্টেট্রিকাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান প্রি-এক্লাম্পসিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গর্ভকালে অন্তত ৪ বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে মায়েদের, যাতে ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়।

সভায় জেস্টোসিস সোসাইটির (যারা গর্ভকালীন হাইপারটেনশন নিয়ে কাজ করেন) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম খিঁচুনি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ ম্যাগসালফ সব হাসপাতালে অবশ্যই রাখার দাবি জানান।

ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ বলেন, মাতৃমৃত্যু কমাতে হলে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া, যা চিকিৎসার অবহেলায় মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়ে—এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এটি মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102