“শিক্ষা ও সহপাঠ কার্যক্রমের এক অনন্য মিলনমেলা”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৫। রবিবার (২৫শে মে,২০২৫) বেলা ১০টায় প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়াম রুমে শুরু হয় এই বর্ণাঢ্য আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ভাইস-প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোঃ জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল আব্দুল হক (অব.), মাননীয় চেয়ারম্যান, RAOWA। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কমোডর সিদ্দিকুর রহমান (অব.), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি বক্তব্যে অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমার বলেন, “এখানে এসে একঝাঁক সম্ভাবনাময় তরুণকে দেখেছি। মনে হয়েছে, আমি যেন আবার স্কুলজীবনে ফিরে গেছি।”
ক্যামব্রিয়ান স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও ফলাফল ঘোষণায় উৎসবমুখর আয়োজন | ছবি: উত্তরা নিউজ
“এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে, যা ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করে।” এমন চিন্তাধারা সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানের ভাইস-প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, “ভালো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা করছে কি না, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা লক্ষ্য রাখি, একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিনের নির্ধারিত পড়া তৈরি করছে কি না।” তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো শিক্ষার্থী দিনের নির্ধারিত পড়া শেষ না করে, তাহলে আমরা তাকে বাড়ি পাঠাই না। শিক্ষক সেই পড়া শেষ করিয়ে তবেই তাকে বাসায় পাঠান। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করাই আমাদের নীতির অংশ—এটাই আমার সবচেয়ে বড় কৌশল বা ‘কারিশমা’।”
কালচারাল ইনচার্জ ও সিনিয়র শিক্ষক জান্নাতুল ফিরদাউস রুমকী বলেন, আমরা অভিভাবকদের কপিগুলো দেখিয়েছি যাতে তারা বুঝতে পারেন কোথায় ভুল হচ্ছে। এটা আমাদের ক্যাম্পেইনেরই একটি বিশেষ দিক।”
এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ। কেবল পড়ালেখা নয়, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায়ও শিক্ষার্থীরা দেখিয়েছে অসাধারণ প্রতিভা।
প্রথম পুরষ্কার বিজয়ী শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম হওয়ার অনুভুতিটাই অন্যরকম। স্পোর্টস আর কালচারে সমান গুরুত্ব দেয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত আরেক শিক্ষার্থী নাহিদ হোসেন জয় বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা আমাদের প্রচুর অনুশীলন করিয়েছে তা নাহলে এতটা ভালো করা সম্ভব হতো না।”
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিলো অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। অনুষ্ঠানে খুশির আমেজে এক অভিভাবক বলেন, “আমরা খুবই স্যাটিসফাইড। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, আচরণ—সবকিছু নিয়েই সন্তুষ্ট। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবে এগিয়ে যাবে।”
উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয় এই সাফল্যমণ্ডিত আয়োজন। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে গড়ে তুলবে আত্মবিশ্বাসী, সুশিক্ষিত ও সৃজনশীল প্রজন্ম।