পারিবার আমাদের আশ্রয়স্থল। প্রতি বছর ১৫ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। এ এমন একটি দিন যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় একটি পরিবার কীভাবে আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে ওঠে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ভাবনাগুলো প্রকাশ করেছেন। তাদের এই ভাবনাগুলোই তুলে ধরেছেন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা-
পরিবারের শিক্ষাই মানুষের প্রথম শিক্ষা মুহিবুল হাসান রাফি শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ
পারিবারিক সংস্পর্শে সন্তান সামাজিকতা বজায় রাখতে শিখেইকরাম আকাশ শিক্ষার্থী,চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ
পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানরা পরিবার, জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি বিমুখী হয়ে যায়। দায়বদ্ধতা কাজ করে না। অনেকেই ছিনতাই, খুন, মাদকাসক্ত, ধর্ষণ, রাহাজানি, জুয়ারি সহ আরো বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে যায়; সেখান থেকে ফেরানো অসম্ভব। পারিবারিক সুশৃঙ্খল নিয়মনীতির চর্চা ও শিক্ষা মানুষকে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করে দেয়। তাই সবার উচিত সন্তানকে পারিবারিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা।
পরিবার: মানবিক বন্ধনের প্রথম অনুপ্রেরণা তিথি দাস শিক্ষার্থী, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল
পরিবার হলো সেই বৃক্ষ, যার ছায়ায় আমরা ক্লান্তি ভুলে যাই, আর যার শিকড় আমাদের অস্তিত্বকে ধরে রাখে। আধুনিকতার জোয়ারে ভেসে চলা এই সময়ে, পরিবার যেন সেই বাঁধ যা আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির ভিতকে দৃঢ় করে রাখে। পরিবার হলো ভালোবাসা, সহানুভূতি, সহনশীলতা ও মূল্যবোধ শেখার জায়গা। একজন মানুষের মনন গঠনে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা সবাই কারো না কারো পরিবারের অংশ, এবং আমাদের দায়িত্ব শুধু নিজের পরিবার নয়, সমাজের সব পরিবারকে সম্মান ও নিরাপত্তা দেওয়া।
ইসলামের দৃষ্টিতে একটি পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব কতটুকু হোসনে আরা আমিরা শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
ইসলাম ধর্ম হলো শান্তির ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলাম ধর্মে পারিবারিক বন্ধনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। পারিবারিক বন্ধন গড়ে ওঠে মুলত ইসলামী শরীয়া মোতাবেক। সুন্দর ও সুস্থ পারিবারিক বন্ধন সকল সমাজের কাম্য। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার জন্য যা উপাদান প্রয়োজন তার সবকিছুই ইসলামী সমাজে বিদ্যমান। যে জাতির পারিবারিক বন্ধন যত বেশি দৃঢ় সে সমাজ তত বেশি উন্নত। ইসলামী সমাজে পরিবার গঠিত হয় নারী ও পুরুষের বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। ইসলামী সমাজে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব কর্তব্য, সন্তান লালনপালন তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ সম্পর্কে সুন্দরভাবে উল্লেখ্য রয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য পারিবারিক বন্ধন হতে হবে দৃঢ়। পরিবার থেকেই মানুষ ধর্মীয় শিক্ষা, সদাচরণ ও ভালো গুণ অর্জন করে। ইসলাম ধর্মে পরিবারের গুরুত্ব অনেক কারণ সমাজের অবস্থা ভালো খারাপ সবকিছু নির্ভর করে সুস্থ পারিবারিক বন্ধনের উপর। সমাজকে সুন্দর ও প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পরিবার গঠন করতে হবে যায় ফলে সমাজ হবে সমৃদ্ধ ও শান্তিময়।