সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

গবেষণার চমকপ্রদ তথ্য, বুড়ো হচ্ছে হার্ট!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মাঝেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রবল। অতিরিক্ত ডিভাইস নির্ভর হওয়া, খাদ্যাভাস ও রাতজাগাকে কারণ হিসেবে বলছেন চিকিৎসকেরা। এই বিষয়ে গবেষণা করেছে ব্রিটেনের নরউইচের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাঙ্গলিয়ার বিজ্ঞানীরা। হার্ট নিয়ে তারা জানিয়েছে চমকপ্রদ এক তথ্য।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, বুড়ো হচ্ছে হার্ট। কমছে কর্মক্ষমতা। স্থূলত্ব যত বাড়বে, রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা ছাড়াবে, রক্তে শর্করা যত বাড়বে, ততই প্রবীণ থেকে প্রবীণতর হয়ে পড়বে হার্ট। কমে যাবে তার রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা। একদিন হঠাৎ করেই ধুকপুকানি বন্ধ হবে আগাম কোনও লক্ষণ ছাড়াই। এক্ষেত্রে বয়স কোনো বিষয় না। ২০ বছরের এক তরুণের হার্টও দুর্বল হয়ে থাকতে পারে।গবেষকেরা জানাচ্ছেন, কম বয়সে এত বেশি হার্ট অ্যাটাকের কারণই হল হৃদযন্ত্রের বয়স বৃদ্ধি। ৫৫৭ জনের উপর পরীক্ষা করে এই তথ্য দিয়েছেন তারা। অংশগ্রহণকারীদের দুইটি দলে ভাগ করে পরীক্ষাটি করা হয়।গবেষণায় একটি দলে ছিলেন ১৯১ জন, যাদের কোনও অসুস্থতা নেই। অন্য দলে ৩৬৬ জন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস বা স্থূলতা রয়েছে। গবেষকেরা একটি বিশেষ ধরনের এমআরআই স্ক্যানার ব্যবহার করে হার্টের মতিগতি লক্ষ করেছেন। দেখা গেছে, যাদের কোনও রোগ ছিল না, তাদের হার্ট সতেজ ও কর্মক্ষম। তবে যাঁদের নানা অসুখবিসুখ রয়েছে তাদের হার্টের কার্যক্ষমতা অনেক কম। শুধু তা-ই নয়, হার্টের ‘ফাংশনাল এজ’ অনেক বেশি। হার্টের বয়স কতটা বাড়ছে, তা হৃৎস্পন্দনের হার দেখেও বোঝা সম্ভব। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস রোগীদের হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত। অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন সাধারণত হার্ট ব্লক থেকে হয়ে থাকে। একে বলা হয় ব্র্যাডিঅ্যারিদ্‌মিয়া। এ ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন ৬০-এর নীচে চলে যায়। হার্টের ভিতরে ইলেকট্রিক্যাল ইমপালস গেলে তবে হার্ট সঙ্কুচিত হয়। এই ইলেকট্রিক্যাল ইমপালস যেখানে তৈরি হয়, সেই জায়গার যদি গন্ডগোল থাকে, তা হলে হার্টরেট কমে যেতে পারে। তখন আচমকা হার্ট অ্যাটাক হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102