কোন দল কী বলেছে
সভায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বর্তমানে ব্যাংকঋণের সুদহার অনেক বেশি। করপোরেট করহার বেশি। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি কমেনি। এগুলো ব্যবসার ব্যয় বাড়াচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে জায়গায় জায়গায় আইনের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়। এমন পরিবেশ থাকলে বিনিয়োগ বাড়বে না। এ জন্য সবার আগে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।ব্যবসার উদ্যোগ বা বৃহৎ বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশগত বিষয়, যুব কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরে জোর দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, বিনিয়োগ উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে যুব কর্মসংস্থানে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ আনার পরামর্শ দিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এম আকাশ বলেন, জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাহ্য করে যেন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ না হয়। তিনি বলেন, অতীতে এমন কিছু বিনিয়োগ এসেছে, যেগুলো এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে। এসব বিষফোড়া থেকে রাষ্ট্র নড়তেও পারছে না, সরতেও পারছে না, ধরতেও পারছে না।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রতিযোগী সক্ষম করতে জ্বালানি সমস্যা দূর করা, বন্দরসুবিধা বৃদ্ধি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তো আগের মতোই আছে। ফলে বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে। বিনিয়োগ কম হওয়ার পেছনে এখনো হয়রানি একটি বড় কারণ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, দেশে এখন প্রধান সমস্যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। স্থানীয় পর্যায়েও একটা ব্যবসা শুরু করতে হলে ১৮টি জায়গা থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। আর প্রতিটি জায়গায় টাকার বান্ডেল দিতে হয়। দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ইকোনমিক চার্টার তৈরির পরামর্শ দেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা।