ইসরায়েলি অবরোধের প্রায় দুইমাস পার হয়ে গেছে, তারই প্রেক্ষাপটে খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকটে সেবাদানকারীদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ই মে,২০২৫) গাজা উপত্যকায় প্রথম সারির সেবাদানকারীরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল বলেন, আমাদের ৭৫ শতাংশ গাড়ি ডিজেলের অভাবে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে জাতিসংঘ ও অন্য মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে আসছে, উপত্যকার ২৪ লাখ মানুষের জন্য জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
হাসপাতালটির ল্যাবপ্রধান হিন্দ জোবা বলেন, সব সংকটের মধ্যেও মানুষ রক্ত দিতে এসেছে, নিজেদের শরীর নিঃশেষ করেও মানবিক কর্তব্য পালন করছে।
এদিকে ইসরায়েল গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় অব্যাহত রাখছে তা অস্বীকার করছে। তবে, তারা হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি করতে সেখানে সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাস নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে বহু ইসরায়েলিকে বন্দি করেছিল।
ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল আবার গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে।