ইসরায়েল যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি। তবে দেশটির কট্টর ডানপন্থীরা গাজা পুরোপুরি দখলের পক্ষে এবং এর জনগণকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেয়ার দাবি করে আসছে।অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ বলেন, ‘আমরা অবশেষে গাজা দখল করতে যাচ্ছি। ‘দখল’ শব্দটি নিয়ে আমাদের আর কোনো ভয় নেই।’তবে জনমত জরিপ বলছে, ইসরায়েলি জনগণ এখন যুদ্ধের পরিবর্তে ৫৯ জন জিম্মি ফিরিয়ে আনার পক্ষেই বেশি। সংসদের বাইরে এ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয়। এক নিহত সেনার বাবা বলেন, ‘সব পরিবারই ক্লান্ত। আমরা নিশ্চিত না—এই নতুন অভিযান আদৌ আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে আনবে কি না।’এরই মধ্যে ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, সিরিয়া ও পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ছে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদী অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির বলেন, ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক রিজার্ভ সেনাকে তলব করা হয়েছে, তবে সেটি গাজা পুরোপুরি দখলের উদ্দেশ্যে নয় বরং অভিযানের বিস্তারের জন্য।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের স্থল ও আকাশপথে চালানো অভিযানে এ পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।