মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

ইরানের ড্রোনাবাহী যুদ্ধজাহাজের বৈশিষ্ট্য কী?

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৭ বার পঠিত

ইরানি ড্রোনবাহী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ বাহমান বাকেরি’ হচ্ছে ইরানের বিপ্লবী গার্ডবাহিনী আইআরজিসির নৌবাহিনীর নতুন এবং সবচেয়ে উন্নত জাহাজগুলোর মধ্যে একটি। আইআরজিসির নৌ অভিযানকে শক্তিশালী এবং জোরদার করার জন্য ড্রোনবাহী এই যুদ্ধ জাহাজ ডিজাইন এবং নির্মিত হয়েছে।

ইরানের ড্রোনবাহী যুদ্ধজাহাজ ‘শহীদ বাহমান বাকেরি’র উন্মোচন ও কমিশনিং অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ আগে ইরানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কমান্ডাররা এই জাহাজ নিয়ে তাদের বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন।

৬০টি ড্রোন এবং ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ

শহীদ বাকেরি জাহাজটি ২৪০ মিটার লম্বা এবং ২১ মিটার উঁচু। এই জাহাজটি হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে সজ্জিত এবং এতে একটি বিমান পরিচালনার লিফট রয়েছে। “শহীদ বাহমান বাকরি” ড্রোন ক্যারিয়ারটিতে ৬০টি ড্রোন এবং ৩০টি মিসাইল লঞ্চার বহন করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অপারেশনাল রেঞ্জ ৭৫০ কিলোমিটার থেকে ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌছাতে পারে।

২২,০০০ নটিক্যাল মাইল ব্যাপী অভিযান চালানোর সক্ষমতা

এটা বলা যেতে পারে যে আইআরজিসি নৌবাহিনীর শহীদ বাকেরি ড্রোন ক্যারিয়ার বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধ এবং গোয়েন্দা ড্রোন বহন করার ক্ষমতার পাশাপাশি এর ২২,০০০ নটিক্যাল মাইল ব্যাপী অভিযান চালানোর সক্ষমতা থাকায় এটি আইআরজিসির যুদ্ধ বাহিনীকে সমুদ্রে যেকোনো সাহসী অভিযান চালাতে সহায়তা দেবে। বিপ্লবী গার্ড নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরির মতে,  এই জাহাজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলো জন্য বিশেষ হ্যাঙ্গার রয়েছে যা তীরে ফিরে না গিয়ে এক বছর ধরে সমুদ্রে কাজ করতে পারে। সামরিক সক্ষমতার পাশাপাশি এই জাহাজটি প্রয়োজনের সময় দেশের জীবিকা এবং অর্থনৈতিক শিপিং লাইনগুলো সুরক্ষিত করতে সহায়তা করতে পারে।

১৮০ মিটার লম্বা রানওয়ে

একটি ফ্লোটিলা থাকার পাশাপাশি শহীদ বাকেরি জাহাজটিতে ১৮০ মিটার লম্বা একটি রানওয়েও রয়েছে যেখানে ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলো ফিরে আসার সময় উড্ডয়ন এবং অবতরণ করতে পারে। ড্রোন এবং হেলিকপ্টার অপারেশনের পাশাপাশি জাহাজটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত এবং জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য একটি পৃথক প্ল্যাটফর্মও এখানে রয়েছে।

কৃত্রিম ঘাস মাঠ

জাহাজটিতে উন্নত সরঞ্জামের একটি স্যুট রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন যুদ্ধ দল, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম, একটি ডাইভিং দল, ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন দল এবং সহায়তা স্যুট যার মধ্যে রয়েছে ৬ শয্যা বিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল, একটি অপারেটিং রুম, একটি পরীক্ষাগার, একটি ফার্মেসি এবং এমনকি বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য একটি কৃত্রিম ঘাসে আবৃত মাঠ।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য

• ড্রোন বহন এবং উৎক্ষেপণ: এই জাহাজটি বিভিন্ন ধরণের ড্রোন বহন এবং উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম যা নৌবাহিনীর অনুসন্ধান এবং নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

• উন্নত সরঞ্জাম:  এই জাহাজটি আধুনিক অস্ত্র এবং ইলেকট্রনিক সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত যাতে এটি বিভিন্ন অভিযান অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

• বহুমুখী অভিযান: এই জাহাজটি বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে টহল, শত্রুর টার্গেটকে শনাক্তকরণ এবং ভূ-পৃষ্ঠ বাহিনীকে সহায়তা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102