আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা -১৮ আসনে চলছে বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচারনা। এদিকে সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন ও ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন কল্যান পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ১৮ আসনের প্রার্থী দয়াল কুমার বড়ুয়া। তার মার্কা ঘড়ি মার্কার গনজোোয়ার সৃস্টি হয়েছে এমনটাই দাবি করছেন প্রার্থী দয়াল কুমার বড়ুয়া ।
স্থানীয় ভোটারগণ বলেন এবার হবে তুমুল লড়াই। সবদিক বিবেচনা করে এই আসনে ভোটযুদ্ধকে ঘিরে,ঘুরে ফিরে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আসছে আরো একটি নাম হাত ঘড়ি মার্কা দয়াল কুমার বড়ুয়া।
বর্তমানে ভোট যুদ্ধে দৌড়ের টিকতে না পেরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন গুলো যে যার মত করে বিভক্ত হয়ে গেছে। ফলে বেশ বেকাদায় পড়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীগন এটা মনে করেন প্রার্থী দয়াল কুমার বড়ুয়া ।
দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন-সাধারণ মানুষ গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারা থেকে বের হতে চাচ্ছেন বলে তারা হাত ঘড়িকে বেছে নিয়েছেন।
বর্তমানে এ আসনের ভোটারদের মুখে মুখে হাতঘড়ি নামের জোয়ার উঠেছে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত দয়াল কুমার বড়ুয়া এখন ঢাকা ১৮ আসনের গণমানুষের কাছে একটি আস্থার নাম।
উত্তরায় বসবাসরত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, আদিব গ্রুপের চেয়ারম্যান এ নেতাকে নিয়ে উত্তরার ব্যবসায়ী সমাজ গর্বিত।
১৮ আসনের প্রবিন ভোটার জাহাঙ্গীর মিয়া ব্যবসায়ী বলেন, দয়াল দাদাকে নিয়ে আমাদের ভাবনার কিছু নেই। তিনি শিক্ষিত ও সুজন, বহুদিন ধরেই তাকে উত্তরায় আমরা দেখছি তিনি একজন মানবিক মানুষ তাই আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে ওনার উপর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরার আরো অনেক বাসিন্দা বলেন, এবারের ভোট হবে বাঘে মহিষের যুদ্ধ।
যদি নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ নির্বাচন সাধারণ মানুষকে উপহার দেন তবে দয়াল কুমারের হাত ঘড়ির সাথে লড়াই হবে ট্রাক, কেটলি ও লাঙ্গলের।
উত্তরার বিভিন সেক্টেরের সাধারণ ভোটাররা জানান,ঢাকা ১৮ আসনের সংখ্যালঘু ভোট প্রায় সবই দয়াল কুমার বড়ুয়ার দখলে। অন্য প্রার্থীরা তা নেওয়ার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করলেও কতটুকু কার্যকর হবে তা ভোটের মাধ্যমেই প্রমাণ হবে। সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায় তাই হাত ঘড়ির দিকেই মানুষ ছুটছে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে দয়াল কুমার বড়ুয়া আরোও বলেন-আমি এম পি, মন্রী হতে আসিনি, আমি আপনাদের একজন ভাই হয়ে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই আমি সাধারন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলি। আপনাদের ভালোবাসা পেলে উত্তরার এ আসনকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে তৈরি করতে চাই। উত্তরখান ও দক্ষিনখানকে ঢেলে সাজাতে চাই। এ এলাকার জনগণ দীর্ঘদিন নাগরীকসেবা থেকে বঞ্চিত । অবস্থা দেখলে মনে হয় ৫০ বছর পিছিয়ে আছি। এখানে শীতের মধ্যেও জলাবদ্ধ দেখা যায়। আমি পুরো উত্তরা কে একটি আধুনিক ও স্মার্ট নগর হিসাবে গড়ে তুলতে চাই এবং নিজের ভালো কর্মদ্বারা সাধারন মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় অবস্থান করতে চাই।
ইসি সুত্রে জানা যায়, ঢাকা- ১৮ আসনের মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৮৮৬৪০ জন , এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩১৯৯০০ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ২৮৬৬৯৩ লক্ষ জন এবং হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ছয় জন।