নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বিএনপির অবস্থান অনড় বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেষপর্যন্ত বিএনপি কোথায় সমাবেশ করবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত যেখানে….নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে ডিএমপি কার্যালয়ে প্রতিনিধিদল গিয়ে অন্য যেখানে সমাবেশের প্রস্তাব দিয়ে এসেছে, সেটাও তো পুলিশ প্রশাসন শুনছে না। তারা (পুলিশ প্রশাসন) বলছে তারা নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের বিষয়ে অনড়। পুলিশ প্রশাসন যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ব্যাপারে অনড় থাকে, তাহলে আমরা এখানে (নয়াপল্টনে) সমাবেশ করতে অনড়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা বিএনপির জন্য নিরাপদ নয় দাবি করে রিজভী বলেন, তারা হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে অনেকভাবে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করতে পারে। তাই আমরা মনে করি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা নিরাপদ নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ঢাকার গণসমাবেশকে নিয়ে টালবাহানায় আবারও প্রমাণিত হলো—অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসররা কখনোই গণতান্ত্রিক শক্তির মিত্র হতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে অবৈধ সরকার শত্রুতা করতে পারে, কিন্তু তাদেরকে মনে রাখতে হবে—বিএনপির বন্ধুর সংখ্যা অসংখ্য। জনগণই বিএনপির সবচেয়ে বড় বন্ধু। এত ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাঝেও বিএনপি এখনো দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।
প্রশাসনের কাছে এখন নিরপেক্ষতা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয় উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের কাছে দলীয় আনুগত্য গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এদের বিবেচনাশক্তি থাকলে বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করত না। আজকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চলছে বলেই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে দলীয় চেতনায় সংগঠিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও যুববিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।