আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রায় আড়াই ঘণ্টার শীর্ষ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। শুক্রবারের আলোচিত এ বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প স্বীকার করেন, ইউক্রেন প্রশ্নে অগ্রগতি হয়নি। যদিও তিনি দাবি করেন, পুতিনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং ‘কিছু ভালো অগ্রগতি’ হয়েছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
অন্যদিকে পুতিন বলেন, একটি চুক্তি হয়েছে, তবে এর প্রকৃতি বা বিষয়বস্তু প্রকাশ করেননি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া সম্পর্ক বর্তমানে শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। মুখোমুখি সংঘাত নয়, বরং সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
পুতিন আবারও যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন সংকটের ‘মূল কারণগুলো দূর করতে হবে’, যা রাশিয়ার অবস্থানে কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় না।
সংক্ষিপ্ত বৈঠকটি “তিনজন বনাম তিনজন” ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, আর পুতিনের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। পরিকল্পিত বৃহত্তর ভোজসভাও বাতিল হয়।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, আলোচনার বিষয়বস্তু তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অবহিত করবেন। আর পুতিন ইংরেজিতে ইঙ্গিত দেন, “পরের বার মস্কোয়।”