বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:

খুলে নিচ্ছে নাট-বোল্ট, ঝুঁকিতে ৭০০ কোটি টাকার ফ্লাইওভার

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
এখন নিরাপত্তাঝুঁকিতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার। প্রতিবছর অন্তত একবার সার্বিক পরিস্থিতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা থাকলেও ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফ্লাইওভারটি সাত বছরে একবারও সেটি করা হয়নি। স্টিল গার্ডার থেকে নাট-বোল্ট খুলে নেওয়াসহ ফ্লাইওভারের নিচে সবুজায়নের জন্য তৈরি করা নিরাপত্তা বেষ্টনীও চুরি হচ্ছে।

২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত চার লেনের আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়।

এরপর ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চে। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটির মূল অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে জিইসি ও ষোলশহরের লুপ এবং র‌্যাম্পগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারসহ চারটি ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
 সিডিএর সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত ৮০ হাজার গাড়ি চলাচল করে এই ফ্লাইওভার দিয়ে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের গাইডলাইনে প্রতিবছর অন্তত একবার নিরীক্ষা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এদিকে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হলেও মরে যাচ্ছে ৯০ হাজার গাছ। সরেজমিনে ফ্লাইওভারে গিয়ে দেখা যায়, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক থেকে জিইসি মোড়ে ওঠানামার লুপ ও র‍্যাম্পের ২৯টি স্টিল গার্ডারের অনেকগুলো থেকে নাট-বোল্ট খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এসব বিষয়ে ফুটপাতের এক দোকানি বলেন, মাদকসেবী ভাসমান কিশোর ও যুবকরা নিরাপত্তা বেষ্টনী খুলে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ বাধা দিলে তারা দল বেঁধে তেড়ে আসে। কয়েক দিন আগে ফ্লাইওভারে নাট-বোল্ট খোলার শব্দ পেয়ে লোকজন জড়ো হয়ে তাদের তাড়িয়েছে।

ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এর নিচে সড়ক বিভাজকে সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়। লাগানো হয় বিভিন্ন প্রজাতির ৯০ হাজার গাছের চারা। মাঝখানে হাঁটাপথ তৈরি করে বসানো হয় টাইলস। গাছগুলোতে পানি ছিটাতে ঝরনা ও সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া কয়েক শ বিদ্যুতের পোল স্থাপন করা হয়। এসব কাজে সিডিএর ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।

আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, গার্ডারের নাট-বোল্ট খুলে নেওয়া হলে অবশ্যই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য একটি গাইডলাইন সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছিল। জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দিলেও তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেরামত করে দিতে পারবে।এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মাদকসেবীরা ফ্লাইওভারের নাট-বোল্ট ও গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102