এক্সপ্রেস ট্রেন ১৩ জুলাই রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নাঙ্গলকোট স্টেশানে না থামায়, যাত্রী রেখে চলে যাওয়ায় নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।রেল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ৩ সদস্য ও বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
জানা যায়, এতে করে শত শত যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। পরে স্টেশন মাস্টারকে যাত্রীরা ঘেরাও করে, কেন ট্রেন স্টেশানে থামেনি,মাস্টার যাত্রীদের কে বলেন লাকসাম কেবিন মাস্টার আমাকে যেভাবে বলেছে সে ভাবে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়েছি। এতে করে ঢাকা, কুমিল্লা লাকসাম সহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে নাঙ্গলকোটে আসা যাত্রীরা নামতে পারেনি। অপরদিকে হাসানপুর ফেনী ও চট্টগ্রাম যাওয়ার শত শত যাত্রী ৮০২ চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠতে না পেরে স্টেশান মাস্টারকে ঘেরাও করে রাখে। কিছুক্ষণ পরে ৭০২ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসাম কেবিনের মাস্টার থেকে অনুমতি নিয়ে নাঙ্গলকোটে স্টপিজ দিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদেরকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল জানান, আমি লাকসাম কেবিনের দায়িত্ব রত মাস্টারকে বলেছি ট্রেন চালানোর জন্য ৮০২ চট্টলার স্থলে ৭০২ সুবর্ণ মনে করে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোটে থামেনি। হয়তো আমার বলার ভুল, না হয় কেবিন মাস্টারের বলার ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে লাকসামের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন আমি ৮০২ চট্রলা ট্রেনের কাগজ লিখে দিয়েছি ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখি নাই, আমরা দু’জন মাস্টার ভুল করতে পারি কিন্তু ট্রেনের ড্রাইভার ভুল করতে পারেনা, সে তো নাংগলকোটে স্টপেজ দিতে পারতো, কিন্তু ট্রেনের গার্ড তো ভুল করতে পারেনা, সেও ব্রেক করতে পারতো, সবাই এক সাথে ভুল করেছে । নাংগলকোট রেল স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা করেছে।