ঢাকার আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো. মাহফুজুর রহমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় একটি ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। পৃথক অভিযানে টঙ্গীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহফুজুর রহমান ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার মরদেহ আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বিআরটির নির্মাণাধীন স্থানে উদ্ধার করা হয়।
ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামে র্যাব-১। তদন্তের একপর্যায়ে নিহতের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন শনাক্ত হলে এর সূত্র ধরে চোরাই মোবাইল ব্যবসায়ী রাকিব ইসলাম (২৬) কে গ্রেপ্তার করা হয়। রাকিব স্বীকার করেন, তিনি ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল কিনতেন এবং ধারালো অস্ত্রও সরবরাহ করতেন।
রাকিবের তথ্যমতে র্যাব চক্রের আরও তিন সদস্য—রাফসান ওরফে রাহাত (২৮), রাশেদুল ইসলাম (২০), ও কাওছার আহম্মেদ পলাশ (২৩)—কে গ্রেপ্তার করে। স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ঘটনার দিন মাদকসেবনের পর মাহফুজকে ছিনতাইয়ের সময় ধস্তাধস্তিতে রাশেদ ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ পলাশ সংগ্রহ করে এবং দ্রুত রাকিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলায় (মামলা নং-৭) পেনাল কোডের ৩৯৪/৩০২/৩৪ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।