রিও ডি জেনিরোতে শুরু হয়েছে ব্রিকস জোটের শীর্ষ সম্মেলন, যেখানে সদস্য দেশগুলোর নেতারা বৈশ্বিক রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বিকল্প মুদ্রাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছেন। তবে এবার সম্মেলনে অনুপস্থিত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন—দুই প্রভাবশালী নেতার অনুপস্থিতি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং। বিশ্লেষকদের মতে, শির অনুপস্থিতি চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর মনোযোগ দেয়ার কৌশল হতে পারে। একইসঙ্গে পুতিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিচ্ছেন, কারণ ব্রাজিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য হওয়ায় তার উপস্থিতিতে গ্রেফতারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরাসরি অংশগ্রহণকারী নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোও সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন।
২০০৯ সালে গঠিত ব্রিকস জোট এখন ‘ব্রিকস+’ নামে পরিচিত, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০। সম্প্রতি মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্ত হয়েছে।
এবারের সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা বিকল্প পেমেন্ট ব্যবস্থার ওপর জোর দিচ্ছেন, যাতে সদস্য দেশগুলো মার্কিন ডলার নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করতে পারে। ডি-ডলারাইজেশনের এই পদক্ষেপে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে রাশিয়া ও ইরান।
যদিও সম্মেলন থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা কম, তবে এটি উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সংহতির এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে—পশ্চিমা অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় যৌথ উদ্যোগই এখন ব্রিকসের মূল ভিত্তি।