বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

পালানোর পূর্বক্ষণে হাসিনার খুদে বার্তা

ন্যাশনাল ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
সংগৃহীত ছবি | উত্তরা নিউজ

শেখ হাসিনা পালানোর আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তিনি বলেছেন, কোনো গণমাধ্যমে এ তথ্য আসে নাই। অথচ এই তথ্যটা আরও বেশি বেশি প্রচার হওয়া দরকার ছিল। শেখ হাসিনা ২ আগস্ট তার আত্মীয়-স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল যে তোমরা যে যেভাবে পারো দেশ ছেড়ে চলে যাও। দেশ থেকে বিদেশে পালাও। যে কারণে তার কোনো আত্মীয়-স্বজন গ্রেপ্তার হয়নি। সবাই নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।

রোববার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণজাগরণ দল আয়োজিত ২০১১ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর নৃশংস ঘৃণিত হামলার সঙ্গে জড়িত হারুন, বিপ্লবদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশে নতুন করে রাজনৈতিক জোট পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই যারা আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং যে যুবকরা নতুন দল গঠন করেছে তাদের সংশোধন হওয়ার জন্য বলি এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রীরাও জড়িত ছিলেন, তাদের মাও জড়িত ছিলেন। এটা হবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুধু ছাত্রদের আন্দোলন না। এবং এর পেছনে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে যে জোট, সেই জোট ছিল এর পেছনের শক্তিদাতা।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি আহত সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি ঘুমের সংখ্যা বিএনপিতে কিন্তু আমরা এই কৃতিত্বের দাবি করি না। আমরা মনে করি বিএনপির এটা করা উচিত ছিল, করেছে।

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন একটি মিথ্যা মামলায়। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারপরও শেখ হাসিনা যখন পালিয়ে গেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন আজ শান্তির দিন। কেউ প্রতিহিংসায় মেতে উঠবেন না। কেউ অন্যায় করবেন না। দিস ইজ খালেদা জিয়া। সেই বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক জয়নুল আবদিন ফারুক। জিয়ার সৈনিক আমরা তাই আমাদের সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশে নতুন আরেকটা রঙ্গিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে। এই রঙ্গিলা বাক্সটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি যেসব দেশে আছে সেই সব দেশগুলোতে কোনো একটি দেশেও স্থিতিশীল সরকার নেই। স্বাভাবিক গতির সরকার নেই। বেলজিয়াম ও ইসরাইলেও আছে। ইসরাইলের নাম বললে আর কোনো দেশের কথা বলা লাগে না। এই পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের আরও অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে একটা জিনিস সবাইকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে তা হল একটি পুরাতন বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হলে তার আগে ওই জায়গায় কি করবেন সেটার পরিকল্পনা নিতে হবে। এখন বিল্ডিং ভেঙে ফেললেন কোনো পরিকল্পনা নাই তাহলে ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর ফাঁকা জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি টর্নেডো হয়। সে টর্নেডো ঝড়ের প্রত্যাশা নিয়ে পিআরের পক্ষে কারা কারা আছেন সেটা নিয়ে আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে আর বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক এমপি লায়ন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সংগঠনটির সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিক, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102