চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে ব্রাজিলের চিকিৎসকরা। তারা পোড়া রোগীদের স্কিন পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহার করেছেন তেলাপিয়া মাছের চামড়া—এবং পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য।
ব্রাজিলের বিভিন্ন হাসপাতালের সম্মিলিত গবেষণা উদ্যোগে ৭০ জন পোড়া রোগীর উপর এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তেলাপিয়ার চামড়া স্কিন গ্রাফট হিসেবে ব্যবহারে রোগীদের ক্ষত নিরাময় দ্রুত হয়েছে, সংক্রমণ কমেছে এবং ব্যথাও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলাপিয়া মাছের চামড়ায় থাকা প্রোটিন, কোলাজেন ও উচ্চ আর্দ্রতা পোড়া চামড়ার ক্ষত স্থানে প্রতিস্থাপনযোগ্য এক ধরনের প্রাকৃতিক ব্যান্ডেজ হিসেবে কাজ করে। এটি শুধুই ক্ষত ঢেকে রাখে না, বরং নতুন কোষ বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
গবেষণার প্রধান চিকিৎসক ড. এদার্মা সান্তোস বলেন, “তেলাপিয়া চামড়া শুধু ব্যয়সাশ্রয়ী নয়, এটি অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত স্কিন গ্রাফটের তুলনায় কার্যকরও। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী সমাধান।”
চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি সারা বিশ্বেই আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতসহ কয়েকটি দেশে এ পদ্ধতির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রচলিত স্কিন গ্রাফটের ব্যয়বহুল ও জটিল ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে তেলাপিয়া স্কিন হতে পারে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী সমাধান, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য।