কল্যাণ ফান্ডে আটকে পড়া টাকা, অসুস্থ শিক্ষকের জীবন সংকটে
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট
-
আপডেট টাইম:
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ‘ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমি’র ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মিজানুল হক আজ বিছানায় শয্যাশায়ী। দীর্ঘ ৩০ বছর শিক্ষকতা করে মানুষ গড়ার কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ খুবই কম। অবসরের তিন বছর পরেও তিনি পাননি তার প্রাপ্য অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা, যা ছিল তার শেষ সম্বল।ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির জটিল রোগে আক্রান্ত মিজানুল হক আর্থিক সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ওরাবাঁশবাড়ি গ্রামে তার বাড়ি। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর অবসরে গিয়ে অবসর সুবিধা বোর্ড ও শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। তার একমাত্র ছেলে ২০০৮ সালে আত্মহত্যা করে।স্ত্রী সাজেদা খানমও বয়সজনিত কারণে চলাফেরা করতে অক্ষম। মেয়ে সামিয়া আক্তারের বিয়ের পর তিনি ও তার মা নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন।মেয়ে সামিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা একজন সৎ ও আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন। এখন তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি।টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকার যেন দ্রুত তার প্রাপ্য টাকা প্রদান করে।’ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজন শিক্ষক সারাজীবন বেতন থেকে টাকা জমা রাখেন। অবসরের পরে যদি সেই টাকা না পান, তাহলে মৃত্যুর পর পেয়ে কী লাভ?’ আগৈলঝাড়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারহানা আক্তার বলেন, ‘মিজানুল হক স্যারের মতো আর কোনো শিক্ষক যেন বঞ্চনার শিকার না হন। আমরা দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত তার অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা প্রদান করা হোক।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রীও দ্রুত তার প্রাপ্য অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বণিক বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতাম না। এখনই যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।’
নিউজটি শেয়ার করুন..
-
-
-
- Print
- উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..