স্থানীয় কাউন্সিলর লামেন পানাই জানান, সরকার যে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল, তা বাধ্যতামূলক ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল ওপরের তলায় যেতে। কিন্তু যা ঘটেছিল, সেটা কেবল মানুষ সরিয়ে নিয়ে ঠেকানো সম্ভব ছিল না।’হুয়ালিয়েনের ডাকপিয়ন হসিয়ে চিয়েন-তুং বলেন, ‘পানি আসছিল যেনো সুনামির মতো। আমি কোনোরকমে পোস্ট অফিসের দ্বিতীয় তলায় উঠে প্রাণ বাঁচিয়েছি। বাড়ি ফিরে দেখি আমার গাড়ি বসার ঘরে ভেসে এসেছে।’দমকল বিভাগ জানিয়েছে, সব মৃত ও নিখোঁজ মানুষ গুয়াংফুতেই। সেখানে বন্যায় একটি প্রধান সেতু ভেসে গেছে। তাইওয়ানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনীও ৩৪০ জন সেনা মোতায়েন করেছে। সেনারা সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে খাবার বিতরণ করছে। বন্যায় শহরের চারপাশে ভেসে এসেছে গাড়ি ও মোটরসাইকেল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজার ২০০ মানুষ নিজেদের বাড়ির ওপরের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন, আর বাকিরা আত্মীয়দের কাছে গিয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, ব্যারিয়ার লেক থেকে প্রায় ৬ কোটি টন পানি বেরিয়ে গেছে। যা প্রায় ৩৬ হাজার অলিম্পিক মানের সুইমিং পুলের সমান।
চীনের সমবেদনা
তাইওয়ান সরকারের প্রতি বেইজিং থেকেও বিরল সমবেদনা জানানো হয়েছে। চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিস এক বিবৃতিতে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করে। হুয়ালিয়েন তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়, আবার এখানে দ্বীপের স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক সদস্যও বাস করেন। টাইফুন রাগাসা সোমবার থেকেই তাইওয়ানে আঘাত হানছে। এটি বর্তমানে সুপার টাইফুন থেকে দুর্বল হয়ে চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও হংকং উপকূলে আঘাত হানছে। রাগাসার প্রভাবে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার (২৮ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে। ২০০৯ সালে তাইওয়ানের দক্ষিণে টাইফুন মোরাকটের আঘাতে প্রায় ৭০০ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।