শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন

নদী, খাল-বিলে চায়না দুয়ারি জাল, বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতিয়া নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলো এখন বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ। এই সময়ে নিরাপদ আশ্রয় ভেবে মিঠাপানিতে ডিম ছাড়তে আসে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ। এই সুযোগে একশ্রেণির মৎস্যশিকারি চায়না দুয়ারি, কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বাদাই জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপে দেখা দিয়েছে চায়না দুয়ারি জাল।এই জালে আটকা পড়ছে সব প্রজাতির জলজ জীব। এমন কোনো মাছ নেই, যা এই জালে ধরা পড়ে না।মৎস্য বিভাগের কাছে এই জাল ‘সর্বনাশা’ নামে পরিচিত হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। স্বল্প ব্যয়ে এবং কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে বিপজ্জনক এই জাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলাকার মৎস্যজীবীদের কাছে।এতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের বিলুপ্তির শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন মিলে বেশ কিছু নদী, বিল ও জলাশয় রয়েছে।এর মধ্যে ডাকাতিয়া নদী, ঘাগরিয়া খাল, বেরুলা খাল, হাসনাবাদ মহেন্দ্র খাল- বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চায়না দুয়ারি জাল, কারেন্ট জাল, নেট জাল, খরা জাল, বাদাই জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে অবৈধভাবে মা ও পোনা মাছ শিকার করছে।এদিকে, এসব জাল বন্ধে বা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মৎস্য দপ্তরের কাগজে-কলমে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে মর্মে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবের সঙ্গে কোনো মিল নেই।এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর দেশীয় প্রজাতির মাছ খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম  বলেন, ‘ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা অভিযান আরো বৃদ্ধি করব সামনের দিকে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102