গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক বরাবরই এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।ডেনমার্কের টিভি চ্যানেল টিভি ২-কে রাসমুসেন বলেন, ‘বিশেষ দূত নিয়োগের এই সিদ্ধান্তে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। আর তার বক্তব্যে আমি বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ, যা আমরা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।এর আগে রয়টার্সকে ই-মেইলে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাইকে ডেনমার্ক রাজ্যের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেন্স-ফ্রেডেরিক নিলসেন ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন একটি ঘোষণা নিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। এটি বড় মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের জন্য এতে কিছুই বদলায় না। আমরা নিজেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করি।’ডেনিশ পার্লামেন্টে গ্রিনল্যান্ডের প্রতিনিধি আজা কেমনিৎস বলেন, একজন মার্কিন দূত নিয়োগ করাই নিজে কোনো সমস্যা নয়।তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘সমস্যা হলো তাকে গ্রিনল্যান্ড দখল করা বা গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—এমন কোনো ইচ্ছাই গ্রিনল্যান্ডে নেই।’তিনি আরো বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের যে ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা—নিজেদের দেশ হিসেবে থাকা এবং ধীরে ধীরে স্বাধীনতা বিকাশ—তা সম্মান করার ইচ্ছাই এখানে রয়েছে।’গত এক বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো মিত্র ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা জোরদারে মনোযোগ দিয়েছে, কারণ নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা ছিল।প্রায় ৫৭ হাজার জনসংখ্যার গ্রিনল্যান্ড একটি সাবেক ডেনিশ উপনিবেশ। ২০০৯ সাল থেকে ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার রয়েছে তাদের। দ্বীপটির অর্থনীতি মূলত মাছ ধরার ওপর এবং কোপেনহেগেনের ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথের ওপর অবস্থিত হওয়ায় গ্রিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।