অনলাইন পেমেন্টের জন্য কার্ডের বিবরণ প্রবেশ করার পর, গ্রাহকরা আর ওটিপি পপ-আপ পাবেন না। পরিবর্তে, পেমেন্ট স্ক্রিনে একটি বার্তা প্রদর্শিত হবে, যাতে তাদের ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন অনুমোদন করতে বলা হবে।
একই সময়ে, ব্যাংক গ্রাহককে একটি এসএমএস সতর্কতা পাঠায় যে, কার্ড পেমেন্টের জন্য নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন এবং তাদের ইএনবিডি এক্স অ্যাপে লগ ইন করতে এবং লেনদেন অনুমোদনের জন্য কার্যকলাপ বিভাগে নেভিগেট করতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
ধাপ ২ : অপেক্ষমাণ পেমেন্ট (পেন্ডিং পেমেন্ট)
অ্যাপে লগইন করার পর একটি নোটিফিকেশন দেখা যায়, যেখানে জানানো হয় যে একটি অনলাইন কার্ড পেমেন্ট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই বার্তাটি ব্যবহারকারীকে পেমেন্টটি যাচাই করতে বলে।
ধাপ ৩ : যাচাইয়ের স্ক্রিন (রিভিউ উইন্ডো)
নোটিফিকেশনে ট্যাপ করলে একটি আলাদা ‘লেনদেন অনুমোদন’ স্ক্রিন খুলবে। সেখানে যাওয়ার আগে গ্রাহককে পেমেন্টের সব তথ্য ভালোভাবে দেখে নিতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
এই স্ক্রিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখানো হয়—যেমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম, লেনদেনের পরিমাণ এবং পেমেন্টটি অনুমোদন বা বাতিল করার স্পষ্ট অপশন। পাশাপাশি দুই মিনিটের একটি কাউন্টডাউন টাইমার থাকে, যা জানিয়ে দেয় কত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।
ধাপ ৪ : চূড়ান্ত অনুমোদন (ফাইনাল এপ্রুভাল)
গ্রাহক যদি লেনদেনটি অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে অ্যাপটি তাকে তার স্মার্ট পাস পিন দিতে বলে। পিনটি সঠিকভাবে যাচাই হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো ওটিপি প্রবেশ করাতে বা শেয়ার করতে হয় না।
ওটিপি ব্যবস্থার পরিবর্তন ধাপে ধাপে চালু করা হচ্ছে। ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো কিছু ডিজিটাল ও কার্ডভিত্তিক লেনদেনে এসএমএস ও ই-মেইলে পাঠানো ওটিপি ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ করা শুরু করেছে।
এই পরিবর্তনের সময়কালে গ্রাহকরা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের যাচাইকরণ পদ্ধতির মুখোমুখি হতে পারেন। কোন ব্যাংক, কী ধরনের লেনদেন এবং কোন চ্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে—এর ওপর নির্ভর করে কখনো ওটিপি, আবার কখনো অ্যাপভিত্তিক অনুমোদন দেখা যেতে পারে।
নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশনায় ডিজিটাল ব্যাংকিং নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুরোপুরি এসএমএস ও ই-মেইলভিত্তিক ওটিপি ব্যবহার বন্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।