বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন কমতে থাকে। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়ে, ত্বক ঝুলে যায় এবং উজ্জ্বলতা কমে যায়। খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনসহ নানাবিধ কারণে কোলাজেন হ্রাস পায়। আর তখনই চেহারার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ম্লান হতে শুরু করে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ছয়টি খাবার। এ খাবারগুলো কোলাজেন বাড়াতে সহায়তা করে।
সাইট্রাস জাতীয় ফল
কোলাজেন উৎপাদনের জন্য ভিটামিন সি অপরিহার্য। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে কমলালেবু, লেবু, আঙুর এবং কিউই জাতীয় সাইট্রাস ফল নিয়মিত খান। এতে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে এবং ত্বক সুস্থ থাকে।
ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে নিয়মিত ডিম খান। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড—যা কোলাজেন তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। ডিমের কুসুমে থাকা বায়োটিন চুল-ত্বক-নখকে রক্ষা করে।
সামুদ্রিক খাবার
শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য সামুদ্রিক মাছ মাছ গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় স্যামন, টুনা, চিংড়ি ইত্যাদি মাছ রাখুন। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস, একইসঙ্গে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, কলমি শাকের মতো পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ। এগুলোতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ এর মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান, যা ত্বকের ক্ষতি হওয়া টিস্যু মেরামত করে।
দই
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই হজমশক্তি ঠিক রাখে। ত্বকের কোলাজেন গঠনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে দই। তাই খাদ্যতালিকায় দই রাখুন।
বেরি
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে। এ দুটি উপাদান কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই দুই ফল রাখুন।