কৃষ্ণসাগর অতিক্রমের সময় রাশিয়ার কথিত ‘ছায়া নৌবহরের’ জ্বালানি তেলবাহী দুই ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়—দ্রুতগতির ড্রোন সরাসরি ট্যাংকারে আঘাত হানলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন-ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যায়।তুরস্কের উপকূলে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) গাম্বিয়ার পতাকাবাহী ‘এমটি কায়রোস’ ও ‘বিরাট’ নামের ট্যাংকার দুটিকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। পরদিন শনিবার ‘বিরাট’ ট্যাংকারে আরও একটি হামলার ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কের কোস্ট গার্ড ‘এমটি কায়রোস’ থেকে ২৫ নাবিককে উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে চারজন বাংলাদেশি আছেন এবং তারা সবাই সুস্থ। ইউক্রেনের সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র জানায়, হামলায় ‘সি বেবি’ নামের বিশেষ নৌ-ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ তৈরি করেছে। রাশিয়ার তেলনির্ভর যুদ্ধ-অর্থায়ন দুর্বল করার কৌশলের অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জ্বালানি অবকাঠামো ও পরিবহনব্যবস্থায় লক্ষ্য করে হামলা করছে কিয়েভ।২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পুরনো ও মালিকানা-অস্পষ্ট শত শত জাহাজ নিয়ে ‘ছায়া নৌবহর’ গড়ে তুলে মস্কো। এসব ট্যাংকারের বীমা ও রেজিস্ট্রেশন নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ‘কায়রোস’ এবং পূর্ব দিকে ‘বিরাট’ ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যে বলা হয়েছে, উভয় ট্যাংকারই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।