আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান (বাবুল)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি।
জানা যায়, ছাত্রজীবনে তিনি ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সালে দুই দুইবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় জেলা ছাত্রদলকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মীর মোস্তাফিজুর রহমান (বাবুল)। একই সঙ্গে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে রাজপথে ছিলেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থীতার বিষয়ে মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কোনো ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করি না। শহিদ মীর মুগ্ধের স্বপ্ন, ন্যায়বিচার ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের আদর্শ নিয়েই আমার পথচলা।
প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকেই আমি বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত। এলাকার উন্নয়ন ও বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগণের সেবা করার সুযোগ চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি মীর মোস্তাফিজুর রহমান সমাজসেবা, শিক্ষা ও ধর্মীয় কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইসলামিক সেন্টার, মোহাম্মদীয়া এতিমখানা, ওমর বিন খাত্তাব (রা.) মাদ্রাসাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও কার্যনির্বাহী সদস্য।

এদিকে, মোস্তাফিজুর রহমান পারিবারিকভাবেও জনসম্পৃক্ততায় এগিয়ে। তার বড় ছেলে মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ছোট ছেলে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আইনজীবী ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান উপকমিশনার। মেঝো ছেলে শহিদ মীর মুগ্ধ জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়।
উল্লেখ্য, মীর মোস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে জুলাই ২৪ শহিদ পরিবার এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন তিনি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আশির দশকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন তিনি।
এদিকে, চব্বিশের জুলাই শহিদ পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।