সরকার ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৫ দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের ভুখা মিছিলে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠি চার্জের আঘাতে ৪৩ শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে ২টা ১০ মিনিটের দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল যাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে ৭টি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আমার দেশকে জানান, আন্দোলনরত আহত ৪৩ শিক্ষক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শেখ নজরুল ইসলাম মাহবুব বলেন, ঠিক কতজন আহত হয়েছেন এখনও বলা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর আহতদের তালিকা পাবো।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আল আমিন ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মোখলেছুর রহমান।
ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো: অনুদানভূক্ত ও অনুদানবিহীন সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সরকারের ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ১০৮৯টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণের লক্ষে যাচাই-বাছাইকৃত ফাইলসমূহ দ্রুত অনুমোদন করে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে; স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনুদানবিহীন সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থাকরণ করতে হবে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি করতে হবে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিদপ্তরের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করতে হবে।