জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি সংবিধান আদেশ তৈরি ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করতে যাচ্ছে। আদেশ হলেও এটি আইনের মতো কার্যকর হবে এবং এতে গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য অধ্যাদেশ জারির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদেশের ধারাবলি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে আদেশের খসড়া তৈরি করতে না পারলেও আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদেশের বিস্তারিত বিষয়বস্তু ও খুঁটিনাটি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
একাধিক সূত্র জানায়, আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণঅভ্যুত্থান এবং এর অধীনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভিত্তি কী হবে তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠে এসেছে। সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা—সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও আইন প্রণেতা হিসেবে দেখানোর প্রস্তাব থাকলেও নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও বৈধতা সংক্রান্ত স্পষ্টতা এখনও নেই।
কমিশনের সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। তারা নির্বাচন ও সংস্কার পরিষদের কাজ সংক্রান্ত বিধান আদেশে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এছাড়া, সনদে থাকা আপত্তিগুলোর সমাধান প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা চলছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং এই সময়ের মধ্যে তারা সরকারকে সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করবে। এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত হলে তারা সনদে সই করবে।
বৈঠকে উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমএ মতিন, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক।