বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সহপাঠীকে ধর্ষণ এবং ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে তড়িৎ প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের ২১ ব্যাচের ছাত্র শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষের একটি মামলায় তাকে কারাগারে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীদের মুখে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তার নামে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। এরপর ভোর রাতে আহসানুল্লাহ হল থেকে অভিযুক্ত ছাত্রকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার মডেল থানার ওসি সৈয়দ আশরাফুজ্জামান সমকালকে বলেন, তার নামে বুয়েট কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। মামলায় আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বহিষ্কার আদেশ জারি করেছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শ্রীশান্ত রায়ের একাধিক সহপাঠী তার বিরুদ্ধে ‘রেডিট’ সোশ্যাল প্লাটফর্মে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো এবং নিজ সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাটি উল্লেখ করে আবরার ফাহাদের ভাই বুয়েটের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র আবরার ফাইয়াজ মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘একটা ছেলে গত ৫ মাস ধরে দেশের সবচেয়ে স্বনামধন্য এক ক্যাম্পাসে বসে মুসলমান মেয়েদের ব্যাপারে এমন কোনো নোংরা মন্তব্য নাই যে করে নাই, ধর্ম নিয়েও কটূক্তি করেছে। পুরো ফেসবুক সয়লাব এই ঘটনা নিয়ে। বুয়েটে গতকালও মিছিল হয়েছে, আজকেও মেয়েরা মিছিল করেছে।’
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘কিন্তু এত সিরিয়াস একটা ঘটনার শাস্তি তো শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হতে পারে না, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও দায়িত্ব আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখলাম না।’
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরে ফেসবুকে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশ হল থেকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।