“সড়ক জ্যাম জটমুক্ত হোক, জীবন হোক নিরাপদ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী পালিত হলো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। দিবসটির অংশ হিসেবে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের কদম চত্বর (ময়লার মোড়) এলাকায় সচেতনতামূলক এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল ও এম আর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা কেবল সরকারের একক দায়িত্ব নয়; এটি চালক, যাত্রী ও পথচারী—সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার অভ্যাসই দুর্ঘটনা হ্রাসের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
কাজী ড্রাইভিং স্কুলের ৫ দফা লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা
দিবসটি উপলক্ষে কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঘোষণা করে:
১. সড়ক জ্যাম ও জটমুক্ত রাখা — শহর ও গ্রামে শৃঙ্খলাবদ্ধ চলাচল নিশ্চিত।
২. চালকের ফিটনেস পরীক্ষা — প্রশিক্ষিত ও মানসিকভাবে প্রস্তুত চালক নিশ্চিতকরণ।
৩. যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি — ট্রাফিক নিয়ম মানার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৪. ঘুম চোখে গাড়ি না চালানো — ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিপদ সম্পর্কে সতর্কতা।
৫. সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষা বিস্তার — শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রাফিক সচেতনতা শিক্ষার আহ্বান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী মেহেদী হাসান, এম আর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, এবং উত্তরা পশ্চিম ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুর রহমান। এছাড়াও এলাকার সচেতন নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সমাপনী প্রত্যয়: সবার জন্য নিরাপদ সড়ক
বক্তব্য শেষে আয়োজকরা সবার জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন—একটি বাংলাদেশ, যেখানে সড়ক হবে দুর্ঘটনামুক্ত, যাত্রা হবে নিশ্চিন্ত এবং প্রতিটি চালক হবেন দায়িত্বশীল নাগরিক।
অনুষ্ঠানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্লোগানও তুলে ধরা হয়:
“নিয়ম মেনে চলি, নিরাপদে বাড়ি ফিরি”
“সচেতন চালক, নিরাপদ সড়ক”
এই আয়োজনের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তায় সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।