একজন ইসরায়েলি বিশ্লেষক আবারও সতর্ক করে বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যেই ইহুদিবাদী ইসরায়েল রাষ্ট্রের পতন ঘটবে। ইসরায়েলি রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক লিয়োর বেন শাউল সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে বর্তমান পরিস্থিতিকে “অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত ভূমিকম্প” হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও সামরিক ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিচ্ছে।
হিব্রু দৈনিক ইদিয়োথ আহারোনোথ-এ প্রকাশিত তার লেখাটি উদ্ধৃত করে পার্সটুডে জানিয়েছে—বেন শাউল লিখেছেন, “জায়নবাদী ইসরায়েল আগামী দুই বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়বে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন এই শাসনের ভঙ্গুরতা উন্মোচন করেছে।”
তিনি স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দখলকৃত ভূখণ্ড থেকে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি নাগরিক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকার উদ্দেশে ফ্লাইট টিকিট দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, আর দূতাবাসগুলোতে ভিসা ও অভিবাসনের আবেদনপত্রে উপচে পড়ছে জনস্রোত।
তার ভাষায়, “অনেক পরিবার তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে—ফিরে আসার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।”
বেন শাউল আরও বলেন, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখন দুর্বল, সরকারের কোনো লক্ষ্য বা কৌশল নেই। গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েও সেনারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। হামাস এই সরকারের নৈতিক দেউলিয়াত্ব উন্মোচন করেছে—একটি সরকার, যে শিশু হত্যা করে এবং বিশ্ব থেকে করতালির আশা করে।”
বিশ্লেষক লিয়োর বেন শাউল ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দুটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন—
প্রথম দৃশ্যপট: ইসরায়েল একটি বিচ্ছিন্ন, অস্ত্রধারী দুর্গে পরিণত হবে, যার টিকে থাকা পুরোপুরি আমেরিকার সহায়তার ওপর নির্ভরশীল থাকবে।
দ্বিতীয় দৃশ্যপট: জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়বে, এবং দখলকৃত ভূখণ্ড প্রকৃত মালিক ফিলিস্তিনিদের কাছে ফিরে যাবে।
শেষে তিনি সতর্ক করেন, “ইসরায়েলের পতনের ঘড়ি বেজে গেছে। যখন এই রাষ্ট্র ধসে পড়বে, তখন বিশ্ব স্মরণ করবে সেই মুহূর্ত—যখন একটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র মানবতা হারিয়ে সবকিছু হারিয়েছিল।”