ইন্দোনেশিয়ার আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ভবন ধসের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারালেন ৫৪ জন। একই ঘটনায় এখনো অন্তত ১৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় খোঁজ ও উদ্ধার এজেন্সির (বাসারনাস) অপারেশানস ডিরেক্টর যুধি ব্রামান্ত্য এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত আমরা ৫৪টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার মধ্যে পাঁচ জনের শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে।’
মাদ্রাসা বোর্ডিং স্কুলটির ধসে পড়া ভবনে উদ্ধারকর্মীরা ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য, এখনো নিখোঁজ থাকা শিক্ষার্থীদের মরদেহ উদ্ধার।
যুধি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আজকের মধ্যেই সোমবার উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করতে পারবো।’
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) উপ-প্রধান বুদি ইরাওয়ান বলেন, এটাই চলতি বছরে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয়। অন্তত ১৩ জন এখনো নিখোঁজ আছে বলে তিনি জানান।
তদন্তকারীরা ভবন ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করছেন। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, ভবন নির্মাণে অনিয়মের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ ধরনের দুর্ঘটনার পর প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মানুষকে জীবিত উদ্ধারের ‘উজ্জ্বল সম্ভাবনা’ থাকে। এ সময় ভারী যন্ত্রের বদলে অন্যান্য উপায়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যাতে কোনো জীবিত মানুষ যন্ত্রের আঘাতে আহত না হন।
এই সময়সীমা পার হওয়ার পর বৃহস্পতিবার নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা ভারী যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন।
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে অবস্থিত ওই বোর্ডিং স্কুলের ভবন হঠাৎ ধসে পড়লে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অসংখ্য শিক্ষার্থী। সে সময় তারা আসরের নামাজের জন্য জমায়েত হচ্ছিলেন।