আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যেন দলীয় আচরণ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব না দেখাতে পারেন, সেটি কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “দলীয় বা দলদাসের মতো আচরণ কেউ করতে পারবেন না। কেউ যদি রাজনৈতিক অভিলাষ রাখেনও, তার প্রতিফলন কাজের মধ্যে ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিইসি বলেন, আগে কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে কাজ করতে চাপ দেওয়া হতো, এখন উল্টো বার্তা দেওয়া হচ্ছে—কেউ যদি পক্ষপাত করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই যা আয়নার মতো স্বচ্ছ হবে। এবার মানুষ দেখবে, নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে।”
সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, “এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া।”
তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির আশ্বাস দেন এবং জানান, এবার নির্বাচন কমিশন প্রভাবমুক্ত প্রশাসনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এদিন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গেও ইসি আরেক দফা মতবিনিময় সভা করে। এর আগে সম্পাদক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সিইসি বলেন, “এই নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমাদের লক্ষ্য—দেশবাসীর আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং আগামী দিনের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।”