নেপাল, পূর্ব-তিমুরের পর এবার দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে টিকটক, ফেসবুক ও এক্সসহ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমর্থন জোগাচ্ছে এ আন্দোলন। খবর: বিবিসি।
সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে দেশটিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তায় গাড়ি ভেসে যাচ্ছে, শহর নদীতে পরিণত হচ্ছে, বাড়ছে ইঁদুরবাহিত লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগের প্রকোপ। এ পরিস্থিতিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ সামনে আসে।
স্কুলশিক্ষিকা ক্রিসা টোলেন্তিনো বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করে কর দিই, অথচ সেই টাকা দুর্নীতিবাজরা ভোগ করছে।’
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়রও স্বীকার করেছেন, কিছু প্রকল্প বাস্তবেই নেই। পরিকল্পনামন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৭০ শতাংশ দুর্নীতিতে লোপাট হয়েছে। এর জেরে হাউস স্পিকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এবং সিনেট প্রধানকেও অপসারণ করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে, কারণ দিনটি ১৯৭২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়রের সামরিক আইন জারির বার্ষিকী। সেই মার্কোসকেই ১৯৮৬ সালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। তার ছেলেই এখন প্রেসিডেন্ট।
বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট না হতাম, হয়তো আমিও তাদের সঙ্গে রাস্তায় নামতাম। দুর্নীতিবাজরা কতটা ক্ষতি করেছে, সেটা সবাইকে জানাও। প্রতিবাদ করো, তবে শান্তিপূর্ণভাবে।’