ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ও পূর্নাঙ্গ গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার ও ‘পারসেন্টেজ রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর)’ পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চেয়ে বক্তারা সমাবেশে জোরালোভাবে দাবি জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৮ আসনের হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর, সৈয়দ মুফতি রেজাউল করিম। তার বক্তব্যে তিনি দেশজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার এক রূপ হিসেবে হাতপাখা প্রতীকের প্রতীককে তুলে ধরে বলেন, “হাতপাখা প্রতীকের বাতাসের মাধ্যমে দেশকে ঠান্ডা করতে হবে” — এতে দেশকে অশান্তির আগুন থেকে মুক্ত করার আহ্বান ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, দেশে মুসলিম সংখ্যাবল—৯২ শতাংশ— থাকা সত্ত্বেও জনগণ এখনও ইসলামী শাসন প্রত্যাশা পূরণ দেখেনি এবং মানুষ অধীর আগ্রহে সেই শাসনের প্রতীক্ষায় রয়েছে।
চরমোনাই পীর কড়া শুরে বলেন যে, যারা গণহত্যা, খুন ও গুমে জড়িত তাদের দৃশ্যমান ও ন্যায়সঙ্গত বিচার না হওয়া পর্যন্ত এসব ইতিহাস জাতিকে কলঙ্কিত রাখবে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন যদি পিআর পদ্ধতিতে না করা হয় তবে ক্ষমতাসীনদের কলঙ্ক মুছবে না। সমাবেশে তিনি তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতা ও ঢাবি-জাবি নির্বাচনে তরুণ মেধাবীদের ভূমিকা প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ মুহূর্তে সৈয়দ মুফতি রেজাউল করিম আনোয়ার হোসেনের হাতে হাতপাখার প্রতীক তুলে দিয়ে বলেন, “আনোয়ার হোসেনকে দেশ, ইসলাম ও মানবতা রক্ষার জন্য আমানত হিসেবে রেখে গেলাম।” এই ক্রিয়া প্রতীকের প্রতি আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা পিআর পদ্ধতির অধীন নির্বাচনের পক্ষে একবাক্যে দাঁড়ান এবং স্পষ্ট করেন—পিআর ছাড়াই কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না দলটি। তারা আর্থ-সামাজিক ন্যায়, সরকারি সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা চেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ মুসলিম জনতার বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশ শেষে প্রার্থীর প্রতি জনগণের সমর্থন ও ঐক্যের বার্তা আবারও জোরালোভাবে প্রতিধ্বনিত হয়।