নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনকালীন ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন ও জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালুর দাবিসহ কয়েকটি ইস্যুতে তারা একযোগে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে দলগুলো।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। প্রায় অভিন্ন দাবিতে কারও কর্মসূচি পাঁচ দফা, কারও ছয় বা সাত দফায় সাজানো হলেও মূল দাবি এক—জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন ও অবাধ, সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা।
বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ শীর্ষ নেতারা এতে বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে মিছিল পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন ঘুরে শাহবাগ অভিমুখে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এতে নেতৃত্ব দেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আসরের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটক থেকে মিছিল বের করে। একই দিনে বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আরেকটি সমাবেশ আয়োজন করে দলটি। এতে মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। একই সময়ে ও একই স্থানে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও মিছিল করে।
এ ছাড়া বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে জাগপার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দলগুলোর দাবি অনুযায়ী, জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি, বিগত সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাই মূল লক্ষ্য।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সমাবেশ ও বিক্ষোভ ঘিরে যানজটের আশঙ্কা থাকলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন, সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেলে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।