ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে ফের মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় জনতা। এতে পথচারীরা ব্যাপক ভোগান্তি পড়েন।
রোববার সকাল ৬টা থেকে ভাঙ্গায় ছয়টি স্থানে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ঢাকা-বেনাপোল রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় জনতা।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং বেরিকেট দিয়ে অবস্থান করছেন হাজারো মানুষ। দুটি ইউনিয়নকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে ও পুনবহলের দাবিতে তৃতীয় দফায় পঞ্চম দিনের মতো ভাঙ্গায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। ৬টি স্থানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
হঠাৎ এমন অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ, র্যাব এপিবিএন, সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ওই সব কর্মসূচি ঘোষণা করেন আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক। নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার থেকে টানা তিন দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন আসন পুনর্র্নিধারণের তালিকা প্রকাশ করে। এতে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে (সালথা-নগরকান্দা) অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ভাঙ্গা উপজেলাবাসীসহ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে তারা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন।
সীমান্ত পুনর্বহালের দাবিতে গত শুক্রবার সকাল ও সন্ধ্যায় দুই দফায় নয় ঘণ্টা ভাঙ্গা উপজেলা দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবরোধ করা হয়। তখন ইউএনও ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেন তারা। তবে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। সে সময়সীমা পেরিয়ে গেলে মঙ্গলবার আবারও অবরোধ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা ছিল ফরিদপুর-৪ আসনে এবং ভাঙ্গা উপজেলা ছিল ফরিদপুর-৫ আসনে। পরবর্তীতে পুনর্বিন্যাসের সময় ফরিদপুরের পাঁচ আসন ভেঙে চার আসন করা হয়।