শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

জান্তার নির্বাচন পরিকল্পনা সমর্থন করেছে ভারত : প্রতিবেদন

অনলাইন ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দল পাঠাবে ভারত। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। সমালোচকদের দৃষ্টিতে আগেই ‘প্রহসন’ হিসেবে খ্যাত এই নির্বাচনের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিলো নয়াদিল্লি।চীনে রবিবার অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকা হ্লাইংয়ের জন্য এটি ছিল বিরল কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা।রাষ্ট্র-চালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, ‘বৈঠকে উভয় দেশের সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।’প্রায় সাড়ে চার বছর আগে নোবেলজয়ী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এর পরই দারিদ্র্যপীড়িত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।অভ্যুত্থানের পর প্রথম সাধারণ নির্বাচনের প্রাথমিক ধাপ আগামী ২৮ ডিসেম্বর আয়োজনের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। অন্তর্বর্তীকালীন জান্তা-সমর্থিত প্রশাসন দেশের ৩০০-র বেশি আসনে ভোট নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে কিছু এলাকা বর্তমানে বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীর দখলে রয়েছে।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচন হবে ‘সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে সব পক্ষের অংশগ্রহণ থাকবে।’এর আগের দিন মিন অং হ্লাইং চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন।সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বেইজিংয়ের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে।তবে চলমান সংঘাতের মধ্যে এই নির্বাচন আয়োজন কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। গত বছর ভোটার তালিকা তৈরির জন্য পরিচালিত জাতীয় শুমারিতে সেনা-সমর্থিত কর্তৃপক্ষ ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে মাত্র ১৪৫টি এলাকায় জরিপ সম্পন্ন করতে পেরেছিল।এখন পর্যন্ত নয়টি দল জাতীয় পর্যায়ে ও ৫৫টি দল প্রাদেশিক পর্যায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এসব দল সেনা-সমর্থিত নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে।তবে সেনাবিরোধী দলগুলোকে হয় নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অথবা তারা বর্জনের ডাক দিয়েছে। পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এই নির্বাচন আসলে সেনাশাসকদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার প্রচেষ্টা, যেখানে তাদের প্রভাবশালী মিত্রদের মাধ্যমে শাসন টিকিয়ে রাখার পথ তৈরি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102