ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বাজান তেল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুন ভোরের আগে। সোমবার (১৮ আগস্ট) ইরানি বার্তাসংস্থা মেহের এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হিব্রু ডেইলি-এর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর শোধনাগারের একটি কক্ষে আটকা পড়ে তিনজন প্রাণ হারান। আগুন ও ধ্বংসস্তূপের কারণে উদ্ধার তৎপরতা জটিল হয়ে পড়ে।
হামলায় ইসরায়েলের জ্বালানি স্থাপনা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থারও বড় ক্ষতি হয়েছে।
বাজান কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, হামলার পর তাদের সব স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসে ধীরে ধীরে উৎপাদন পুনরায় শুরু করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন থেকে টানা ১২ দিন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্ডো ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘ট্রু প্রমিজ-৩’ অভিযানের অংশ হিসেবে ইরান দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এসব হামলায় ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
একইসঙ্গে মার্কিন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেসে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়, যা ২৪ জুন থেকে কার্যকর হয় এবং সংঘর্ষ আপাতত থেমে যায়।